1. admin@sundarbanss.edu.bd : sundarbanss :

বিধি-বিধান ও শৃঙ্খলা

সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারীর, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ

ও সম্মানিত অভিভাবকদের জন্য অনুসরণীয়

শিক্ষকদের জন্য নিয়ম-কানুন

  • স্কুলের ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতা অবশ্যই বজায় রাখতে সদা সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।
  • ক্লাশে কোনোভাবেই দেরি করা যাবে না। স্কুলের পড়া অবশ্যই স্কুলে আদায় করা সকল শিক্ষকের নৈতিক দায়িত্ব।
  • শ্রেণী পাঠদান কাজে পাঠপরিকল্পনা ও শিক্ষা উপকরণ যথাযথ ব্যবহার বাধ্যতামূলক
  • কাজের সুবিধার্থে ডাইরী ব্যবহার বাধ্যতামুলক
  • সহ-পাঠক্রমিক কার্য্যক্রমে বাধতামুলক অংশগ্রহণ।

 

কর্মচারীদের জন্য নিয়ম-কানুন

  • কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সাথে কোনোক্রমেই অশালীন বা মনে কষ্ট পাবে এমন কোনো ব্যবহার করা যাবে না। যথাসম্ভব যার যার দ্বায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পালন করতে হবে।
  • মনে রাখতে হবে স্কুলের সর্বক্ষেত্রে অবদানের জন্য কর্মচারীদের অবদান কোনো অংশেই কম নয়। সুতরাং স্কুলের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে আপনাদের দায়িত্ব আরো বেশি করে পালন করতে হবে।

 

শিক্ষার্থীদের আচরণ ও বিশেষ নির্দেশাবলী:

০১। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্কুল ইউনিফর্ম পরে স্কুলে আসতে হবে।
০২। স্কুল শুরু হওয়ার কমপক্ষে ১৫ মিনিট পূ্র্বে স্কুলে আসতে হবে। যথারীতি সমাবেশে যোগদান এবং সমাবেশ শেষে সারিবদ্ধভাবে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে হবে।
০৩। জাতীয় সংগীত, শপথ বাক্য ও সূরা ফাতিহা শুদ্ধ উচ্চারণে মুখস্ত করতে হবে।
০৪। স্কুল আরম্ভ হওয়ার পূর্বে এবং স্কুল ছুটি হওয়ার পরে স্কুল প্রাঙ্গণের কোথাও শিক্ষার্থীরা খেলাধূলা করতে পারবে না।
০৫। মাথার চুল অবশ্যই (ছাত্রদের) ছোট রাখবে, হাতে নখ বড় রাখা যাবে না।
০৬। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া দুই পিরিয়ডের মধ্যবর্তী সময়ে কোন শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষের বাহিরে যেতে পারবে না।
০৭। টিফিন পিরিয়ডের পর সতর্কীকরণ ঘন্টা বাজার সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করবে।
০৮। স্কুলের কোন সম্পদ নষ্ট করলে তাৎক্ষণিকভাবে তা মেরামত ও সংস্কারের ব্যবস্থা করবে।
০৯। স্কুলের দেয়ালে, দরজায়, জানালায় বা ডেস্কে কোন কিছু লেখা যাবে না এবং স্কুল প্রাঙ্গণ বা শ্রেণিকক্ষ কোনভাবে অপরিচ্ছন্ন করতে পারবে না।
১০। বহিরাগত কোন বন্ধু বান্ধব নিয়ে কোন ছাত্র/ছাত্রী স্কুলে প্রবেশ করতে পারবে না।
১১। স্কুলের কোন শিক্ষার্থী পাঠদানের সাথে সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামাদী ব্যতিত অন্য কোন সরঞ্জাম যেমন-মোবাইল, খেলার সরঞ্জাম, এমপি৩, এমপি৪ ইত্যাদি স্কুলে আনা যাবে না।
১২। বিনা অনুমতিতে কোন শিক্ষার্থী স্কুল ত্যাগ করতে পারবে না।
১৩। একাধারে তিনদিনের বেশী অনুপস্থিত থাকতে হলে পূর্বেই ছুটি নিতে হবে। সকল ছুটির আবেদনপত্রে অবশ্যই অভিভাবকের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
১৪। নিয়মিত পড়া শিখে আসবে এবং বাড়ির কাজ করে আনতে হবে।
১৫। ছুটির ঘন্টা বাজলে শৃংখলার সাথে শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করবে।
১৬। কোন অবস্থাতেই বিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম যেমন-মেইন সুইচ, সুইচ, সকেট, কাট আউট, ফ্যান, লাইট, তার ইত্যাদি স্পর্শ করা যাবে না।

 

সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দের প্রতি:

০১। প্রকৃত অভিভাবক “দৈনিক পাঠের বিবরণী” বইয়ে নিজের পরিচিতি ও নমুনা স্বাক্ষর দেবেন। পিতা-মাতা জীবিত/উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও দেখা যায় গৃহ শিক্ষক, চাচা, মামা, বড় ভাই-এদেরকে অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। পিতা-মাতাই ছাত্রের প্রকৃত অভিভাবক/অভিভাবিকা।
০২। প্রতিদিন আপনার সন্তান বিদ্যালয় থেকে বাসায় ফেরার পর সেদিন শ্রেণিতে শিক্ষক কোন পিরিয়ডে কি বিষয় পড়িয়েছেন তা দেখে ছেলের উপস্থিত ও পাঠসমূহ সম্বন্ধে নিশ্চিত হউন এবং ঐ দিনের কার্যক্রম বিবরণী পৃষ্ঠার নিচে আপনার জন্য সংরক্ষিত স্থানে মন্তব্যসহ স্বাক্ষর করুন।
০৩। আপনার সন্তান ঠিক সময়ে স্কুল ড্রেস পরে স্কুলে আসে কিনা এবং ছুটির পরে বাসায় ঠিক সময়ে ফেরে কিনা এবং বাসায় কতক্ষণ নিয়মিত লেখাপড়া করে তা লক্ষ্য রাখুন।
০৪। বিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষাগুলোতে আপনার সন্তান নিয়মিত উপস্থিত থাকছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখুন এবং ফলাফল জানতে চেষ্টা ও স্বাক্ষর করুন। মোট কার্যদিনের ৯৫% উপস্থিতির যৌক্তিক কারণ দর্শনো ছাড়া কোন ছাত্রকে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেয়া যাবে না।
০৫। ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ৮০% লিখিত পরীক্ষা এবং ২০% এস.বি.এ। পরীক্ষার উভয় অংশে পৃথক পৃথকভাবে পাশ করতে হবে।
০৬। “দৈনিক পাঠের বিবরণ” বই এর “ছাত্রদের আচরণ বিধি” অভিভাবক অবশ্যই পাঠ করবেন এবং সে অনুসারে তাকে চলতে নির্দেশ ও সাহায্য করবেন।
০৭। ছাত্রের লেখাপড়া ও চারিত্রিক উন্নতি সম্পর্কে জানার জন্য প্রকৃত অভিভাবক অবশ্যই মাঝে মাঝে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করবেন।
০৮। ছাত্র সম্পর্কে যে কোন বিষয়ে আলোচনার জন্য পত্র পাওয়ার পর নির্ধারিত দিনে ও সময়ে অভিভাবক শ্রেণি শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করবেন।
০৯। আপনার সন্তান স্কুলে অনুপস্থিতির তারিখ ও কারণ উল্লেখ করে আপনাকেই দরখাস্ত করতে হবে। মনে রাখবেন পর পর তিন দিন বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকলে দরখাস্তসহ নিজে উপস্থিত হতে হবে।
১০। কোন ছাত্র অসুস্থতার কারণে স্কুলে আসতে না পারলে অতি সত্ত্বর অভিভাবক নিজে আবেদন পত্র ডাক্তারী সার্টিফিকেটসহ শ্রেণি শিক্ষকের কাছে জমা দিবেন।
১১। কোন ছাত্র পরীক্ষায় ফেল করলে অন্য শ্রেণিতে তার ‘প্রমোশনের’ ব্যাপারে কোন প্রকার তদবির করা চলবে না।
১২। যে সব অভিভাবক নিজে সন্তানদের স্কুল আনা-নেওয়া করেন, তারা তাদের সন্তানদের ঠিক সময়ে স্কুলের গেইটে পৌঁছে দেবেন এবং ছুটির পরে ঠিক সময়ে নিয়ে যাবেন, বিদ্যালয় আঙিনায় অবস্থান করবেন না। এতে পরিবেশের ভারসাম্য ও ছাত্রের মনোযোগ নষ্ট হয়।
১৩। আপনার সন্তানের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন, খারাপ পরিবেশ ও অসদ-সঙ্গ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
১৪। মনে রাখতে হবে অভিভাবক ও শিক্ষক/শিক্ষিকার সম্মিলিত প্রয়াসের ফলে শিক্ষার্থীর পাঠোন্নতি ও সুন্দর চরিত্র গঠন সম্ভব।
১৫। শিক্ষক শিক্ষার্থীর মানস-পিতা এ কথা স্মরণ রেখে স্বীয় সন্তানের পাঠোন্নতি ও চরিত্র গঠনের ব্যপারে শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবেন-এটাই একান্ত কাম্য।
১৬। সরকারী বিধিমালা অনুযায়ী স্কুল পরিচালিত হয়। এতে আপনাদের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।
১৭। পরীক্ষার পর নির্ধারিত অভিভাবক দিবসে শ্রেণিকক্ষে আপনার সন্তানের উত্তরপত্র দেখতে পারবেন এবং প্রয়োজনে শিক্ষকগণের সাথে মতবিনিময় করতে পারবেন। শৃঙ্খলা ও রেকর্ড যথাযথ সংরক্ষণের স্বার্থে উত্তরপত্র বাড়ীতে দেওয়া হবে না। কেননা ইতিপূর্বে দেখা গেছে অনেক শিক্ষার্থী যথাসময়ে উত্তরপত্র জমা দেয় না। ফলে উত্তরপত্র সংরক্ষণে মারাত্মকভাবে বিঘ্ন ঘটে।

 

ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার জরুরী নির্দেশনাবলী:
০১। স্ব স্ব ধর্মের বিধি বিধান মেনে চলতে হবে এবং পারস্পরিক সকল ধর্মের প্রদি শ্রদ্ধাশীল থাকবে।
০২। জাতীয় সংগীতের ভাবার্থ উপলদ্ধি করে নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠা করবে।
০৩। জাতীয় পতাকার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবে।
০৪। মাতৃভাষা, মাতৃভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেকে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।
০৫। দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালন করবে।
০৬। পিতা,মাতা, শিক্ষক ও গুরুজনদের আদেশ উপদেশ মেনে চলবে।
০৭। দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে আদর্শ সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হবে।
০৮। সৎচিন্তা করবে, সৎপথে চলবে, সত্য কথা বলবে, অন্যায়কে ঘৃণা ও প্রতিহত করতে চেষ্টা করবে।
০৯। অধ্যবসায়ী ও পরিশ্রমী হবে, হতাশ হবে না, জীবনে সফলতার জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভরসা, সাহায্য প্রার্থনা ও সাধনা করবে।
১০। সহপাঠিদের প্রতি সহনশীল থাকবে।

 

আমাদের ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সর্বাঙ্গীন কল্যাণ গৃহীত যাবতীয় কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য আমরা সর্বান্তকরণ ছাত্র/ছাত্রী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করি।

ধন্যবাদান্তে-

মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন

প্রধান শিক্ষক

 

সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © সুন্দরবন মাধ্যমিক স্কুল
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Skylark It Ltd